Updated on January 26th, 2023 at 9:48 am(BST)

কাজী জাফরউল্যাহকে এক মঞ্চে বাহাসের আহ্বান নিক্সনের

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন ‘নিজেদের মধ্যে ঝামেলা না করে’ ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এক মঞ্চে বাহাসের আহ্বান জানিয়েছেন ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহকে।

মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আপনি নৌকার সমর্থক, আমিও নৌকার সমর্থক, আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আমিও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, তাই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা না করে আসুন, আমরা দুইজনে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এক মঞ্চে দাঁড়াই। মঞ্চে দাঁড়িয়ে গত ৪০ বছর আপনি এ এলাকার উন্নয়নে যা যা করেছেন তাই তাই বলবেন, আমিও গত ৯ বছরে যা যা করেছি তাই তাই বলব। তারপর জনগণ কাকে নেতা মানবে, তারাই ঠিক করে নেবে।’

আজ সোমবার বিকেলে ভাঙ্গার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পল্লীবেড়ায় দুটি সড়কের ইট বিছানোর কাজ উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর চোকদারবাড়ী সড়কসংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য দেন।

ফরিদপুর-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগে বিরোধ চাই না। উন্নয়নের কথা বলার জন্য আপনাকে ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে আর আমি বলব মাত্র ২০ সেকেন্ড, তাতেই জনগণ বুঝে যাবে কার কত অবদান।’

কাজী জাফরউল্যাহর চাচা কাজী আবু ইউসুফ ও বাবা মাহবুব উল্যাহর প্রশংসা করে মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘তাঁরা ছিলেন দানবীর। এলাকার উন্নয়ন করেছেন, স্কুল-কলেজ করেছেন। অথচ কাজী জাফরউল্যাহ প্রচণ্ড কিপটা মানুষ। তাঁর হাত দিয়া একটা টাকাও বের হয় না। অথচ উনি বাংলাদেশের ১০ জন ধনীর মধ্যে একজন। ওনার জাহাজের ব্যবসা আছে, ব্যাংক আছে। ঢাকায় ৮–১০টি বাড়িরও মালিক। নেত্রী ওনাকে নমিনেশন না দিলে উনি একটা ইউনিয়নের মেম্বারও হতে পারবেন না। আর আমাকে মনোনয়ন না দিলে তা জনগণ দেখবে। তবে নমিনেশন পেলেও চাচার (কাজী জাফরউল্যাহ) জামানত থাকবে না।’

যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, ‘আমি উন্নয়ন করেছি, ভোট চাইব, এতে কোনো লজ্জা নেই। তবে যে ব্যক্তি করোনার সময় দুই বছর এলাকায় আসেননি, ঢাকার বাসায় নিজেকে তালা দিয়ে আটকে রেখেছিলেন, তিনি যদি এসে ভোট চান এবং কোনো মুরব্বি যদি প্রশ্ন করেন ‘‘আপনি দুই বছর কোথায় ছিলেন’’, তখন তিনি কী জবাব দেবেন?’

সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লতিফ চোকদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন। উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, কাউলীবেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রওশন কবীর প্রমুখ।

কাজী জাফরউল্যাহর গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাঙ্গার সন্তান হিসেবে সাহাদাত হোসেনকে সমর্থন দেওয়া উচিত ছিল মন্তব্য করে মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, অথচ তিনি (কাজী জাফরউল্যাহ) সাহাদাতের বিরোধিতা করেছেন। জেলা পরিষদে সাহাদাত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ফরিদপুরে ভাঙ্গার মর্যাদা ও গুরুত্ব বেড়েছে।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন যুবলীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক হোসেন। তাঁকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নিক্সন–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাদাত হোসেন।

Total views 412

মূল প্রকাশকের সংবাদটি পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন Click Here.  উপরের সংবাদ এবং ছবিটি থেকে সংগ্রহীত এবং এই সংবাদটির মূল প্রকাশক কর্তিক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই সংবাদটি কোন প্রকার সংশোধন পরিবর্তন অথবা পরিবর্ধন ছাড়া অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত। প্রকাশক কর্তিক যে কোনো আপত্তি webbangladeshgroup@ gmail.com গ্রহণ করা হয়। এই সংবাদে প্রকাশিত সংবাদ, তথ্য বা মতবাদ এর সাথে ওয়েব বাংলাদেশ এর কোন সম্পর্ক নাই এবং কোন প্রকার দায় ভার গ্রহণ করে না।