
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, এ দেশের স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মই হয়েছিলো বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের সখিপুর থানার চরভাগা বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেতনায় জাগ্রত, হৃদয়ে স্পন্দিত, শোকাহত-প্রতিবাদী-মুজিব বিপ্লবী জনতা কোটি কোটি। মুজিব মরেনি, মরতে পারে না, শতবর্ষে শেখ মুজিব শতকোটি গুণ শক্তিশালী।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু আমাদের অনুভূতি ও অন্তরাত্মায় মিশে আছেন। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। জাতির পিতার প্রতি আমাদের ঋণ, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অশেষ। শেখ মুজিব মানেই বাংলার মুক্ত আকাশ। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির অবিরাম মুক্তির সংগ্রাম। শেখ মুজিব মানেই বাঙালি জাতির অস্তিত্ব। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির ঠিকানা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালি জাতির আশ্রয়-ভরসা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির আদর্শ। শেখ মুজিব মানেই ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝে মাথা উঁচু করে বাঙালির সঠিক পথে চলা।
উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানেই বাঙালির মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনা। শেখ মুজিব মানেই সাম্য-অধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। শেখ মুজিব মানেই দেশের জনগণের প্রতি মানুষের প্রতি ভালোবাসা। শেখ মুজিব মানেই নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির দিশা- আলোর দিশারী। শেখ মুজিব মানেই তো বাংলাদেশ, স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। তার নেতৃত্বে তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী সংগ্রামের ফসল হচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ বিশ্বের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নামেই বাংলাদেশকে চেনে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের দোসর স্বাধীনতা বিরোধীরা ‘৭১-এ পরাজিত হয়ে ‘৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে বিদেশে থাকায় বেঁচে গেছেন তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। বাংলাদেশ একটি মর্যাদা সম্পন্ন দেশে রূপান্তরিত করেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। তার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদায় আসীন। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী নির্বাচনেও এদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চরভাগা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএ কাইউম পাইক, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মানিক সরদার, কাঁচিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান, ডিএমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন হক আবু বেপারী, উত্তর তারাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস মোল্যা প্রমুখ।
মূল প্রকাশকের সংবাদটি পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন Click Here.
উপরের সংবাদ এবং ছবিটি থেকে সংগ্রহীত এবং এই সংবাদটির মূল প্রকাশক কর্তিক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই সংবাদটি কোন প্রকার সংশোধন পরিবর্তন অথবা পরিবর্ধন ছাড়া
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত। প্রকাশক কর্তিক যে কোনো আপত্তি webbangladeshgroup@ gmail.com গ্রহণ করা হয়। এই সংবাদে প্রকাশিত সংবাদ, তথ্য বা মতবাদ এর সাথে ওয়েব বাংলাদেশ এর কোন সম্পর্ক নাই এবং কোন প্রকার দায় ভার গ্রহণ করে না।