পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাজ্যের ভিসা সহায়তা করেছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্যের যাওয়ার বিষয়ে ভিসা সহায়তা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্য সহায়তা প্রয়োজন হলে করা হবে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস,কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময় আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে সবশেষ ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এবার উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে আগামী ৮ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে লন্ডন নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, আমরা যাতে অতিদ্রুত তাকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তার অংশ হিসেবে আমরা লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার জন্য যোগাযোগ করছি।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমে তাকে লন্ডনে নেয়া হবে। সেখানে স্টেওভারের পরে মাল্টি ডিসেপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টার যে দেশে রয়েছে, সেখানে নেয়া হবে। আশা করছি, সব কাজ সম্পন্ন করেই অতিদ্রুতই ম্যাডাম বিদেশে যেতে পারব। সব পাসপোর্ট ও ভিসা হয়ে গেছে। তার সঙ্গে যাবেন এমন ১৫ জনের তালিকাও করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘ম্যাডাম গুলশানের বাসায় আগের মতোই মেডিকেলবোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। বলতে পারেন উনার অবস্থা স্থিতিশীল।’
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও তার কার্যালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ম্যাডামের সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্মীয়-স্বজন যারা যাবেন তা জানানো হয়েছে। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভারট্রান্সপারেন্ট করতে হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র দু-একটি সেন্টার রয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।
মূল প্রকাশকের সংবাদটি পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন Click Here. উপরের সংবাদ এবং ছবিটি থেকে সংগ্রহীত এবং এই সংবাদটির মূল প্রকাশক কর্তিক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই সংবাদটি কোন প্রকার সংশোধন পরিবর্তন অথবা পরিবর্ধন ছাড়া অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত। প্রকাশক কর্তিক যে কোনো আপত্তি webbangladeshgroup@ gmail.com গ্রহণ করা হয়। এই সংবাদে প্রকাশিত সংবাদ, তথ্য বা মতবাদ এর সাথে ওয়েব বাংলাদেশ এর কোন সম্পর্ক নাই এবং কোন প্রকার দায় ভার গ্রহণ করে না।